বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন

সিনহা হত্যা: রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন পুলিশের ৪ সদস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি::

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি চলছে কক্সবাজার আদালতে।

আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তাদের হাজির করা হয়। আদালতের খাস কামরায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে।

এর আগে সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিনহার হত্যা মামলার চার আসামিরা হলেন- পুলিশের উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ আগস্ট সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

আদালতের আদেশ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চার সদস্যদের দ্বিতীয়দফা রিমান্ডের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

আজ চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে আনা হয়েছে। এর পর আদালত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করছেন।

এর আগে উক্ত মামলায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।

লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও ওসি প্রদীপ রাজি হননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএনের তিন সদস্যসহ এ পর্যন্ত আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। পরে তার বোনের করা মামলায় সাত পুলিশ সদস্য, তিন এপিবিএন পুলিশের সদস্য ও পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীসহ মোট ১৩ জন আসামি এই মামলায় আটক রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com